তাহসান, মিথিলা, ফারিয়া এবং ইভ্যালি – সঙ্গদোষে দোষী?



ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি নিয়ে জটিলতা চলছে অনেকদিন। এর প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন গ্রেফতার হয়েছেন প্রায় তিন মাস হলো। গ্রাহকরা টাকা ফিরে পাবেন কী না কিংবা কী হবে ইভ্যালির ভবিষ্যৎ? এসব প্রশ্নের মধ্যে নতুন খবর হলো ইভ্যালির এক গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন অভিনয়শিল্পী তাহসান রহমান খান, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়া।

প্রশ্ন হচ্ছে – ব্র্যান্ডের বা কোম্পানীর ভুলের/অপরাধের/ব্যর্থতার দায়ভার সংশ্লিষ্ট সেলিব্রিটিরা নেবেন কী না?

তাহসান, মিথিলা, ফারিয়ার বিরুদ্ধে মামলার আগেই অবশ্য তোপের মুখে পড়েছিলেন মাশরাফি। আরেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ শপে পণ্যের অর্ডার দিয়ে “প্রতারণার শিকার” হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেটার দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার বাড়ি ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছিল গ্রাহকরা। ই-অরেঞ্জের দু’জন গ্রাহকের বক্তব্য ছিল

“মাশরাফি ভাই ই-অরেঞ্জের ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। তিনি একজন ভালো মানুষ। তাকে প্রতিষ্ঠানটির সাথে যুক্ত হতে দেখে আমরা টাকা ইনভেস্ট করে আজ পথে বসেছি।”

“এখানে যে হাজার হাজার মানুষ দেখছেন, আমরা সবাই মাশরাফিকে দেখে ই-অরেঞ্জের উপর আস্থা রেখেছিলাম। এর দায় তাকেও নিতে হবে।”


এ দুই গ্রাহকের বক্তব্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।

তারা দুজনই বলেছেন যেহেতু মাশরাফি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন, যেহেতু মাশরাফির ওপর তাদের (গ্রাহকদের) আস্থা ছিল, তাই তারা ই-অরেঞ্জের ওপর আস্থা রেখেছিলেন।


ব্র্যান্ডগুলো যখন প্রচার-প্রসারের জন্য সেলিব্রিটি নিয়ে থাকে তখন ৩টি বিষয় বিবেচনা করা হয় –

১) সেলিব্রিটি কতোটা (সু)পরিচিত?

২) সেলিব্রিটির কথায় কাস্টমাররা কি আস্থা রাখে?

৩) কাস্টমারদের প্রভাবিত করার ক্ষমতা কি সেলিব্রিটির আছে?


========================================
বিজ্ঞাপন বিরতি
======================
ব্র্যান্ডের সঙ্গে সেলিব্রিটির সম্পর্ক এবং সংকট সম্পর্কে জানতে পড়ুন - "ব্র্যান্ড বিষয়ক"।
অনলাইনে অর্ডার করতে ক্লিক করুন এখনে - রকমারি ডট কম

========================================


ই-অরেঞ্জ যখন মাশরাফিকে কিংবা ইভ্যালি যখন তাহসান-মিথিলা-ফারিয়াকে ব্র্যান্ড আম্বাসেডর অথবা প্রচারক হিসেবে নিয়েছে, তখন এ তিনটি বিষয় বিবেচনায় নিয়েছে।

ফলে ব্র্যান্ড যখন গ্রাহকদের “প্রতারণা” করে, তখন ভোক্তারা এর দায়ভার ঐ ব্র্যান্ডের প্রচারক সেলিব্রিটিদের ওপরও চাপান।

মার্কেটিং ব্র্যান্ডিংয়ের ঘটনা প্রবাহে এরকম ঘটনা খুব নতুন নয়।

এক আবাসন কোম্পানীর প্রতারণার দায়ে গ্রাহকদের তোপের মুখে পড়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনী। এর চেয়েও বড় কেলেঙ্কারী ছিল ২০০২ সালের হোম ট্রেড স্ক্যাম। ভারতের বাজার থেকে আড়াই হাজার কোটি রুপির বেশি অর্থ মরিশাসে পাচারের ফলে কোম্পানীটি যখন হাওয়া হয়ে গিয়েছিল, তখন বিনিয়োগকারীদের সব ক্ষোভ গিয়ে পড়েছিল হোম ট্রেডের বিজ্ঞাপনের মুখ শচীন তেন্ডুলকার, শাহরুখ খান এবং হৃত্ত্বিক রোশনের ওপর।

২০১৫ সালে ম্যাগি নুডলসের গুণগত মান যখন ল্যাবরেটরি পেরিয়ে আদালত পর্যন্ত গড়ালো তখন মামলা করা হয়েছিল ম্যাগির প্রচারক অমিতাভ বচ্চন এবং প্রীতি জিনতার বিপক্ষে। একই প্রসঙ্গে আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন মাধুরী দীক্ষিতও।





ইভ্যালির প্রসঙ্গে ফিরে আসি।
খবরে জানা যাচ্ছে -

মামলার খবরের প্রতিক্রিয়ায় “শুভেচ্ছাদূত” মিথিলা বলেছেন – তিনি নিজেই ইভ্যালি কর্তৃক প্রতারিত হয়েছেন। চুক্তিবদ্ধ হওয়ার দু’মাসের মাথায় তিনি ইভ্যালির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছেন।

অন্যদিকে “ফেইস অব ইভ্যালি” তাহসান বলেছেন - গ্রাহকের অভিযোগ ক্রমশ বাড়তে থাকায় তিন মাসের মধ্যে চুক্তি বাতিল করেছেন। এখন তাহসান উলটো ইভ্যালির বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিচ্ছেন।

ইভ্যালির এক সময়ের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা শবনম ফারিয়া বলেছেন – তিন মাস পুরোদমে কাজ করার পরেও ইভ্যালি থেকে তিনি কোনো বেতন পাননি। ইভ্যালি প্রসঙ্গে ফারিয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন - “আমি কিন্তু ‘ফেইস অব ইভ্যালি’কিংবা ইভ্যালির অ্যাম্বাসেডর ছিলাম না। আমি জব করেছিলাম। আমি কোথায়ও ইভ্যালিকে প্রচার করিনি। আমার ফেইসবুকে বলেন কিংবা অন্য কোথাও ইভ্যালিকে প্রচার করিনি। ওদের সঙ্গে আমার ডিলই ছিল, আমি দাপ্তরিক কাজ করব। যেহেতু আমি একজন প্রফেশনাল অ্যাক্টেস ফলে আমি কোনো কিছু প্রমোট করতে হলে তার জন্য চুক্তি করতে হবে। এই জন্য ওদের প্রচারণা করি নাই কখনো। দাপ্তরিক কাজের জন্য একান্তই ব্যক্তিগত জীবন।”

শবনম ফারিয়ার চাকরি পাওয়া এবং ছেড়ে দেওয়ার (তা-ও কোনো বেতন না পেয়ে) খবর তেমন মিডিয়া কাভারেজ না পেলেও তাহসান-মিথিলার ইভ্যালির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ঘটনা ছিল এ বছরের বাংলাদেশের মার্কেটিং ব্র্যান্ডিং জগতের অন্যতম আলোচিত খবর। ইভ্যালির প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (সিএমও) আরিফ আর হোসেন তখন জানিয়েছিলেন, তাহসানের পর ইভ্যালির দ্বিতীয় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হতে যাচ্ছেন রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। সেই উপলক্ষে এই আয়োজন। খবরে প্রকাশ - তাহসান-মিথিলার ওই অনুষ্ঠান করতে অর্ধকোটি টাকার বেশি খরচ হয় ইভ্যালির।


এমন ঘটা করে ইভ্যালির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার খবর যতোটা প্রকাশ্যে এসেছে, তাহসান-মিথিলা দুজনেরই ইভ্যালির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার খবর তেমন আলোচিত হয়নি। এখন মামলার খবর শুনে মিথিলা যেমন নিজেই প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ আনছেন কিংবা তাহসান যেমন মামলা করার হুমকি দিচ্ছেন – যদি তারা দুজনেই তাদের ইভ্যালি ত্যাগ করার খবর আরো সজোরে এবং সম্মিলিতভাবে জানাতেন তাহলে তাদের ভক্ত-অনুসারীরা যারা ইভ্যালিকে বিশ্বাস করেছিলেন হয়তো কিছুটা সতর্ক হতো; এখন মামলাও সম্ভবত হতো না। অন্যদিকে তিন মাস সময় কিন্তু একেবারেই কম নয়; ভোক্তা-সাধারণ যারা ইভ্যালিতে ঝাপ দেয়ার তারা এ তিন মাসেই ঝাপ দিয়েছে।


ব্র্যান্ডের জালিয়াতির দায়ভার সেলিব্রিটি নেবে কী না, এ প্রসঙ্গে তাহসানের বক্তব্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেছেন -

“একটা কোম্পানি তখন ভালো চলছে, সবাইকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। বাহ্যিকভাবে দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এখন যেভাবে সেটার দায় মেটাতে হচ্ছে, তাহলে তো কোনও তারকাই আর কোনও ব্র্যান্ড এনডোর্স করতে রাজি হবে না। সব তারকাকে তো আর কোম্পানির ফিন্যান্সিয়াল বুকস দেখতে দেবে না। সারা পৃথিবীতে এমন কিছু হলেও তারকাদের হ্যারাস করা হয় না। আমাদের দেশে এমনটা কেন করা হচ্ছে? এটা তো আমার জন্য মানহানিকর। কারণ গত ছয়-সাত মাস আমার ওপর দিয়ে যা যাচ্ছে, এটা খুবই অস্বস্তিকর।”

তাহসান আরও বলেছেন, “জানতাম ইভ্যালির ৪০ লাখ গ্রাহক। যে কোম্পানিতে আমি যুক্ত হওয়ার আগেই ৪০ লাখ মানুষ যুক্ত, যে কোম্পানির সঙ্গে দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ইভেন্ট যুক্ত, দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত, সেখানে আমি শুভেচ্ছাদূত হয়ে মাত্র দুটো ফেসবুক লাইভ করেছি। তাতেই আমি অপরাধী হয়ে গেলাম?”

তাহসান অপরাধী হবেন কী না সেটা ইভ্যালির সঙ্গে তার চুক্তির এবং এ সংক্রান্ত আইনের ব্যাপার। 
 
 


এখন যদিও তাহসান বলছেন, মাত্র দুটো ফেসবুক লাইভ করে তিনি অপরাধী হয়েছেন কী না, সেই তাহসান “ফেইস অব ইভ্যালি” হয়ে কী বলেছিলেন দেখা যাক।

তাহসান কেবল “ফেইস অব ইভ্যালি”ই হননি, তিনি “চীফ গুডউইল অফিসার” হিসাবেও নিযুক্ত হয়েছিলেন। দ্য ডেইলি স্টার থেকে জানা যায়

Tahsan Khan said about being the Face of Evaly that, when a product brand is combined with an individual brand, it creates a "win-win" situation for both. I pray and hope that the merging of these two brands by Evaly and me will be fruitful for both parties.

Referring to some recent issues, Tahsan added that Evely has gone through a difficult time. I was fascinated when they told me about their time. From his formula I can say that I believe in Evaly. I believe that Evely will one day become a global brand. Evely is not just ours, the whole country.


এখানে ইভ্যালির বানান ভুলের ব্যাপারটি সম্ভবত ইভ্যালির দেয়া “প্রেস রিলিজ” যিনি লিখেছেন তার ভুল। কারণ দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসে প্রকাশিত খবরেও একই বানান ভুল দেখা গেছে।

তবে তাহসানের বক্তব্যের বাংলা রূপ পাওয়া যায় বিডিনিউজ২৪ এর নিজস্ব প্রতিবেদনে

‘ফেস অব ইভ্যালি’ হওয়া প্রসঙ্গে তাহসান বলেন, “ব্যক্তি ব্র্যান্ডের সাথে যখন কোনো প্রোডাক্ট ব্র্যান্ড একত্রিত হয়, তখন সেটি উভয়ের জন্য এক ‘উইন- উইন’ অবস্থা তৈরি করে। আশা করছি, ইভ্যালি এবং আমার এই দুই ব্র্যান্ডের একত্রীকরণ হওয়া উভয় পক্ষের জন্যই ফলপ্রসূ হবে।”
তিনি বলেন, “আমি বিলিভ (বিশ্বাস) রাখি ইভ্যালিতে। আমি বিশ্বাস করি যে, ইভ্যালি একদিন গ্লোবাল ব্র্যান্ডে পরিণত হবে।”

১০ মার্চ ২০২১ তারিখে তাহসান নিজেই যখন ইভ্যালিতে বিশ্বাস রাখার কথা বলেছেন, তখন তাহসানের ভক্তরাও ইভ্যালিতে বিশ্বাস রাখবে এটাই স্বাভাবিক। তাহসান যদিও বলেছেন তিনি তিন মাস ইভ্যালির সঙ্গে ছিলেন, তিনি ইভ্যালির সঙ্গে নেই এমন খবর পত্রিকায় এসেছে ১৭ সেপ্টেম্বরে। ফলে – সম্পর্কটি তিন মাস নাকি ছয় মাসের তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।

তাহসান বলেছেন সব তারকাকে তো আর কোম্পানির ফিন্যান্সিয়াল বুকস দেখতে দেবে না। এটা খুবই সত্যি। কোম্পানীর লাভ খরচের খাতার কী অবস্থা তা সেলিব্রিটিরা জানবে না। তেমনি জানবে না তাদের প্রচার করা পণ্যের গুণগত মান কেমন। কোনো পণ্যের/সেবার প্রচার প্রসার করার পরে পণ্যের/সেবার/ব্র্যান্ডের এবং কোম্পানীর সেবার এবং সততার পাহারাদারের কাজ যদি সেলিব্রিটিকেই করতে হয় তাহলে খুবই ঝামেলা। তাহসান-মিথিলা খুব স্বাভাবিকভাবেই এ চৌকিদারী করতে পারেননি। উলটো এখন মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন। মানসিকভাবেও বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছেন।

 
মাশরাফি-তাহসান-মিথিলা-ফারিয়ার এ ভোগান্তি জনপ্রিয় তারকাদের জন্য এক সতর্কবার্তা।
কোনো ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগে আরেকটু বেশি ভেবে নিতে হবে।


 
বিজ্ঞাপনের “মডেল” হওয়া এবং ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বা শুভেচ্ছাদূত হওয়া এক কথা নয়। ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরের বক্তব্যগুলোর গুরুত্ব অনেক বেশি। নাটক সিনেমার দৃশ্যে কান্না-হাসির সংলাপ এবং ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার পরের বক্তব্য – এ দুইয়ের পার্থক্য ভক্ত-অনুসারী এবং ভোক্তারা ঠিকই বুঝে। যুক্তরাষ্টের বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত আইনে ভোক্তাদের দিক থেকে Good reason to believe ব্যাপারটিকে বেশ গুরুত্ব দেয়া হয়। ফলে সঙ্গদোষে দোষী বা Guilty by association এর দিকটি একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না

ফেস অব ইভ্যালি হওয়ার পরে তাহসান যা বলেছেন তা কোনো বিজ্ঞাপনের ডায়ালগ ছিল না। এ বক্তব্যের মাধ্যমে তাহসান তার সমস্ত ক্রেডিবিলিটি তথা বিশ্বাসযোগ্যতাকে ইভ্যালি ব্র্যান্ডের সঙ্গে এক কাতারে মিলিয়ে দিয়েছেন। এখানেই বিশাল ঝুঁকি তিনি নিয়েছেন।

“কোমল পানীয়ের ক্ষতিকর দিক জেনেও কেন কোমল পানীয়ের বিজ্ঞাপনে মডেল হন?” এক কিশোরীর এমন প্রশ্নের পরে অমিতাভ বচ্চন আর কোনো কোমল পানীয়ের বিজ্ঞাপন করেন না বলে জনশ্রুতি আছে। ভারতের হকি তারকা ধনরাজ পিল্লাই ব্যক্তিগত অপছন্দের কারণে কোমল পানীয়ের বিজ্ঞাপনের মডেল হতেন না। ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের এরকম উদাহরণ অসংখ্য।

তাহসান-মিথিলার “ইমেজ” সম্ভবত ইভ্যালির কারণে খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। ভারতে হোম ট্রেড স্ক্যামের পরে বিজ্ঞাপন গুরু পিয়ূস পান্ডে অবশ্য বলেছিলেন – শচীন, শাহরুখ, ও হৃত্ত্বিকের ইমেজের ক্ষতি হবে না।

তবে, কোনো ব্র্যান্ডের শুভেচ্ছাদূত বা অ্যাম্বাসেডর হওয়ার আগে ব্র্যান্ড সম্পর্কে যথেষ্ঠ যাচাই বাছাইয়ের পাশাপাশি যুক্ত হওয়ার পরে বক্তব্যের অতিশয্য নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। চুক্তিপত্রের আইনী ধারায় নিজের সুরক্ষার জন্য আইনী পরামর্শকের শরণাপন্ন হওয়াও নিরাপদ।

মনে রাখতে হবে, অন্য ব্র্যান্ডের ভ্যালু বাড়াতে গিয়ে নিজের মানের যেন পতন না হয়। কারণ, সেলিব্রিটিদের অনেকে নিজেই একটি ব্র্যান্ড।

তাই “দূতিয়ালীর দায়িত্বশীলতা” তথা “রেসপনসিবল এনডোর্সমেন্ট” চর্চার বিকল্প নেই। 



No comments:

Post a Comment