নোকিয়ার নতুন লোগো: নতুন সম্ভাবনা?

 


১৯৯০-র দশক থেকে শুরু করে, এ শতকের ১ম দশকেও নোকিয়ার বাজার ছিল রমরমা।

মোবাইল ফোন মার্কেটের শীর্ষে ছিল নোকিয়া। সে অবস্থান হারানোর গল্পও পুরনো হয়ে গেছে।

২০১৪ সালে ৭ বিলিয়ন ইউ এস ডলারে নোকিয়ার মোবাইল ফোন ডিভিশনকে কিনে নিয়েছিল মাইক্রোসফট। সে যৌথ প্রচেষ্টা হালে পানি পায়নি। ২০১৬ সালে এইচ এম ডি গ্লোবাল নামে ফিনিস কোম্পানি আবার নোকিয়াকে কিনে নেয়। তবু মোবাইল ফোন বাজারে নোকিয়া ব্যর্থ।

নোকিয়া চেষ্টা করেছে, তবে ততদিনে দেরী হয়ে গেছে।  উইন্ডোজ ফোন এনে ব্যর্থ হয়েছে। অনেক পরে অ্যান্ড্রয়েড ফোন এনেও সুবিধা করতে পারেনি। 

নোকিয়া বেলস ল্যাবের ব্যানারে এখন মূলতঃ বিজনেস-টু-বিজনেস (বিটুবি) নেটওয়ার্কিং সামগ্রী এবং সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদান করছে। বলা হচ্ছে, এটাই এখন নোকিয়ার মূল ব্যবসা। 


 

তবে গতকাল (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) নোকিয়া তার নতুন লোগো উন্মোচন করেছে। 

ব্র্যান্ড বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন এটা রিব্র্যান্ডিংয়ের অংশ। তবে অন্যরা বলছে - এটা অতীত ব্যর্থতা মুছে সামনে ফ্রেশ লুকে চলার চেষ্টা। 

নতুন লোগোর ডিজাইনার লিপিনকোট অবশ্য চেষ্টা করেছে মন যোগানো যুক্তি দিতে। তবে, এক সময়ের নাম্বার ওয়ান মোবাইল ব্র্যান্ডের অনেক ভক্ত গ্রাহক এসব যুক্তি মানতে পারছেন না। তাদের নস্টালজিয়া ও আবেগের বিবেচনায়  মৃতপ্রায় নোকিয়ার নবজীবন লাভের সম্ভাবনা কম বললেই চলে। 

কেউ কেউ অবশ্য নোকিয়ার নতুন লোগোতে অটোমোবাইল ব্র্যান্ড KIA-র লোগোর ছায়া দেখেছে। কিয়ার লোগোটি এতোই বিভ্রান্তিকর যে অনেকে এটাকে KN কার পড়েছে, এবং ইন্টারনেটে সার্চ করেছে। 


লোগোর ডিজাইন নিয়ে তর্ক বিতর্ক - পছন্দ অপছন্দ যা-ই থাকুক না কেন, এ কথা অনস্বীকার্য যে শুধু লোগোতে চিড়া ভিজবে না। 

নতুন লোগো নিয়ে নোকিয়া আবার কনজ্যুমার এ্যপালায়েন্স বাজারে আসবে কী না তা জানা নেই; নোকিয়াও কোন ঘোষণা দেয়নি।

তাহলে, বি-টু-বি বাজারের জন্য লোগো পাল্টানো কি খুব জরুরী ছিল? 

 

বাজার বিশেষজ্ঞরা নিশ্চয় চোখ রাখবেন এ প্রশ্নে।