নগদ-এর বিজ্ঞাপন: লজ্জা ও অপমানের গল্প



ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন সার্ভিস নগদ' একটি টিভি বিজ্ঞাপন সম্প্রতি প্রচারিত হচ্ছে টিভি চ্যানেলে।

বিজ্ঞাপনের স্টোরি লাইনে আছে বাবা-মেয়ে।
স্টোরিলাইনের উল্লেখযোগ্য পয়েন্টগুলি আগে দেখি। বিজ্ঞাপনের শুরুর দৃশ্য -  কলেজ/ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়ে একটা রুমে বসে আছে, তার মোবাইলে রিং হচ্ছে, কিন্তু সে ধরছে না। স্ক্রীনে জ্বলজ্বল করছে “বাবা”।
ঠিক এই মুহূর্তেই মেয়ের মনোলগ –

সংলাপ ১ -  মায়ের মৃত্যুর পর আমার বাবা চেষ্টা করেছে আমার দায়িত্ব নিতে, কিন্তু কিছুই করতে পারে নাই... (দৃশ্যপটে দেখা যাচ্ছে, বাবা ভাতের মাড় গালতে গিয়ে হাত ফসকে পাতিল ফেলে দিয়েছে, শিশুকন্যা দরজার আড়াল থেকে করুণ চোখে বাবাকে দেখছে)

সংলাপ ২ – এমনকী সামান্য একটা কাজও... (দৃশ্যপটে দেখা যাচ্ছে, স্কুলগামী কন্যার জুতার ফিতা ঠিকমতো বাঁধতে পারেনি বাবা; মেয়ে আগের চেয়ে একটু বড় হয়েছে)

সংলাপ ৩ – তার ওপর কখনোই ভরসা করা যেতো না... (দৃশ্যপটে দেখা যাচ্ছে, মেয়ে আরো বড় হয়েছে, সম্ভবতঃ নাইন-টেনে পড়ে। বৃষ্টির মধ্যে স্কুল ব্যাগ মাথায় দিয়ে ভিজছে মেয়ে, সম্ভবতঃ বাসার সামনে অপেক্ষা করছে, ওদিকে বাবা আসতে দেরি হয়ে গেছে। দেরী করার জন্য বাবা ক্ষমা চাচ্ছে, কিন্তু মেয়ে এক ঝাপ্টায় বাবার হাত থেকে চাবির গোছা কেড়ে নিলো...)

সংলাপ ৪ – তাই নিজের দায়িত্ব নিজেই নিয়ে নিলাম, এমনকী তার দায়িত্বটাও... (দৃশ্যপটে বাবা সোফায় ঘুমিয়ে পড়েছে, মেয়ে মাথার বালিশ ঠিক করে দিচ্ছে)

নেক্সট, আমরা দেখি - পড়ার টেবিল থেকে মেয়ে বলছে – “বাবা আমার পরীক্ষার ফি?”
বাবা নিজের ঘাঁড়ের উপরের চুল চুলকে বিব্রত হয়ে বলছে – “দু’দিন পরে দিলে হয় না?”
বাবার এই উত্তর শুনে মেয়ের মনোলগ, “তখনি বুঝতে পারি, নিজের পথ দেখতে হবে নিজেকে”। 

এরপরের দৃশ্যে মেয়ে ট্রেনে চড়ে বসেছে, বাবা দৌড়ে এসে জানালা দিয়ে সবুজ পলিব্যাগে কয়েকটা মিস্টার টুইস্ট দিয়ে মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বলছে “এই নে ধর, ভালো থাকিসরে মা।“ এটা শুনে মেয়ে কিছুটা অনাগ্রহে তার মাথায় রাখা বাবার হাত আলতো করে সরিয়ে দেয় বা দিতে চায়। অথবা বাবাও সরিয়ে নিচ্ছিলো, ক্রসওভার হয়ে গেছে।




রপরে কী কী হয়েছে সেটা পুরো বিজ্ঞাপনে দেখতে পাবেন। সীন টু সীন ডিটেইলে যাচ্ছি না। টিউশনি করে মেয়ে পড়ালেখা করে, কঠিন পরিশ্রম, কিন্তু একদিন এক্সিডেন্টে পা ভেঙে গেছে...

তারপর বিজ্ঞাপনের শুরুতে রিং হতে থাকা মোবাইলে ফিরে আসে দৃশ্য। ফোন রিসিভ করে মেয়ে তার ‘অকর্মণ্য’ বাবাকে তিরস্কার করছে। লাস্ট সেমিস্টারের ফি দেয়ার লাস্ট ডেইট। কড়া কথা বলে মেয়ে ফোন কেটে দেয়।

রপরে ফিরতি ফোনে বাবা জানায় নগদ-এর মাধ্যমে ৫০হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে। মেয়ে যেন সেমিস্টার ফি দিতে পারে। ঠিক এরপরেই গল্পকারের বসানো সংলাপ বাবার মুখে “এই পর্যন্ত তো তোর জন্য কিছুই করতে পারি নাই, সামনের দিনগুলিতে তোর সাথে থাকতে চাইরে মা...”

তখন মেয়ের কান্নাভেজা মুখে হাসি আসে।
বিজ্ঞাপনে আমরা নদ’এর ভ্যালু প্রপোজিশন শুনি – “এভাবেই সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে দিতে এলো ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস নগদ”।

বাহ! (এখানে প্রচুর হাততালির ইমোটিকন হবে)।

*
বিজ্ঞাপনটির সংলাপ এবং দৃশ্যপটগুলোর দিকে তাকাই। 
এই বিজ্ঞাপনের পরতে পরতে আছে অযৌক্তিক, কাল্পনিক, অহেতুক, এবং বাস্তবতা বিবর্জিত এক গল্প। এই গল্প শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর বাবাদের জন্য অপমানের গল্প হয়ে যায়। আর সন্তানদের জন্য হয়ে ওঠে গ্লানির গল্প।

কেন এই সিদ্ধান্ত দিচ্ছি, সেটা দেখা যাক।


“মায়ের মৃত্যুর পর আমার বাবা চেষ্টা করেছে আমার দায়িত্ব নিতে, কিন্তু কিছুই করতে পারে নাই...
এমনকী সামান্য একটা কাজও..."

আপনার দায়িত্ব না নিলে আপনি বড় হচ্ছেন কীভাবে? যে শিশু আপনি ছিলেন, তার যত্ন, নিরাপত্তা, খাদ্য, অর্থ, জামা কোত্থেকে এসেছে, কে দিয়েছে?

পনার বাবা যখন ভাতের মাড় গালতে গিয়ে হাত ফসকে সব এলোমেলো করে দিচ্ছেন, তখন কি বাবার হাত পুড়লো কিনা সে ব্যাপারে আপনার কোনো উদ্বেগ বা উৎকন্ঠা নেই? সামান্য কৃতজ্ঞতা নেই এই কর্মজীবি বাবার প্রতি?

জগতের প্রচলিত সামাজিক কাঠামোয়, স্ত্রীর প্রয়ানের পরে নিজের এবং শিশু সন্তানের কথা চিন্তা করে বাবার ২য় বিবাহই কি সম্ভাবনাময় ঘটনা ছিল না? তিনি সেটা করেননি। এর পেছনে হয়তো, আপনার কল্যাণের কথা তিনি ভেবেছিলেন। নাকি ২য় বিবাহ না করাটাও আপনি আপনার বাবার ব্যর্থতা হিসেবে ধরবেন?

সারাদিন কাজ করেছেন, এসে রান্না করেছেন। সকালে আপনাকে নিশ্চয় নাস্তা দেয়া হয়েছিল, তারপর সাজিয়ে গুছিয়ে, নিজে রেডি হয়ে, আপনার জুতার ফিতাটা বাঁধতে গোলমাল হয়ে গেল, আর তাতেই আপনার ক্ষোভ “কিন্তু কিছুই করতে পারে নাই... এমনকী সামান্য একটা কাজও...”, বাহ!

স্কুল থেকে এসে দেখলেন, বাবা আসেনি, বৃষ্টিতে আপনি ব্যাগ মাথায় রেখে ভিজছেন, বাবার উপরে রাগ ঝাড়ছেন। দেখে মনে হয়, ক্লাস নাইন টেনে পড়েন; এতোটুকু কান্ডজ্ঞান কি আপনার হয়নি যে, বৃষ্টিতে না ভিজে পাশের বাসার আন্টি কিংবা নিকট প্রতিবেশির ঘরে গিয়ে একটু বসি?

এই সামান্য জ্ঞানটুকু নেই, নিজের দায়িত্ব নেয়ার সাধ্যটুকু নেই, আবার বলছেন “তাই নিজের দায়িত্ব নিজেই নিয়ে নিলাম, এমনকী তার দায়িত্বটাও”। কী সিনেমাটিক! একেবারে হারুকি মুরাকামির উপন্যাসের কিশোর ক্যারেক্টার। ঘর পালানোর মতো সাহসী।

যে বাবা, নিজের এবং আপনার দায়িত্ব নিতে গিয়ে, ক্লান্ত হয়ে সোফায় ঘুমিয়ে পড়েছে; আপনি তার মাথায় বালিশ দিয়েই “দায়িত্ব” নিচ্ছেন? ক্লান্ত বাবার সোফায় ঘুমানোর দৃশ্য দেখে একবারের জন্যও কি বাবার জন্য মায়া লাগলো না আপনার?

বাবা টিউশন ফি দিতে পারছেন না , আর তখনি আপনি বুঝতে পারছেন “নিজের পথ দেখতে হবে নিজেকে”
ভালোই! শহরে কলেজে/ভার্সিটিতে পড়ার মতো পর্যায়ে পৌঁছে ‘অকর্মণ্য’ বাবাকে ফেলে যাওয়ার এমন “সৎ সাহস” আপনাকেই মানায়...

আসলে বিজ্ঞাপনের গল্পের চরিত্র এই যে “আপনি”, আপনাকে দোষ দিয়ে কী লাভ? আপনি তো আপনি নন; আপনি এক কপিরাইটারের সৃষ্ট চরিত্র। আপনার যে স্রষ্টা, তিনি কোন জগতে বসবাস করেন জানি না। তিনি কখনো কোনো মা-হারা মেয়ের একাকী বাবার কাছে বেড়ে ওঠা দেখেছেন কিনা জানি না। তবে তার কল্পনা ও রুচির স্তর  এ বিজ্ঞাপন দেখলেই বোঝা যায়।

ফাইনাল সেমিস্টারের আগে আবুল খায়ের ও ড. নুর ইসলাম রচিত সামস্টিক অর্থনীতি, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, বিজনেস কম্যুনিকেশন পড়ুয়া (বিজ্ঞাপনের দৃশ্যে বইগুলো টেবিলে আছে) শহুরে সংগ্রামী মেয়ে বাংলাদেশে অভাব নেই। কিন্তু, জীবনের এই পর্যন্ত আসা কোনো মেয়ে কি এমন অযৌক্তিকভাবে তার বাবাকে ঘৃণা-বিদ্রুপ-তুচ্ছ করে যাবে?

বিজ্ঞাপনটির প্রথম অংশ দেখলে যে প্রশ্ন বারবার মনে আসে – মায়ের মৃত্যুর পরে আপনার বাবা দায়িত্ব নিতে চেয়েছে, কিন্তু কিছুই করতে পারেনি, এমনকী সামান্য একটা কাজও করতে পারেনি, তার ওপর কখনোই ভরসা করা যেতো না; আর এভাবেই আপনি এক অলৌকিক ক্ষমতায় বড় হয়ে গেছেন, শহরে কলেজে/বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন। আপনার থাকা, খাওয়া, নিরাপত্তা, পড়ালেখা সব অন্য গ্রহ থেকে কেউ একজন এসে দায়িত্ব নিয়ে গেছে?

বে সবচে’ জঘন্য ঘটনা ঘটে যখন ৫০হাজার টাকা পাঠিয়ে এভাবেই সামনের দিনগুলোতে আপনার কাছে থাকতে চায় বাবা। হায় খোদা! পুরা বিজ্ঞাপনের সংলাপে, দৃশ্যে যে অকৃতজ্ঞ কন্যার কারেক্টার অযৌক্তিকভাবে স্টাবলিশ করা হয়েছে, তার ততোধিক স্বীকৃতি দেখি বাবার সংলাপে “এই পর্যন্ত তো তোর জন্য কিছুই করতে পারি নাই, সামনের দিনগুলিতে তোর সাথে থাকতে চাইরে মা...”

বাবা-মেয়ের সম্পর্ককে এমন কাল্পনিক, অবিবেচক, স্বার্থপর, অকৃতজ্ঞ, সর্বোপরি কদর্য এবং রুচিহীনভাবে বিজ্ঞাপনের স্টোরি লাইনে আনা কাদের মাথা থেকে আসে?
*

বিজ্ঞাপনের গল্পটি সামগ্রিকভাবে রুচিহীনই নয়, একে অশ্লীলও বলা যায়।
এ বিজ্ঞাপন পৃথিবীর (বিজ্ঞাপনের দৃশ্যে যেমন দেখানো হয়েছে) অমন বাবাদের জন্য লজ্জার অপমানের। এমন বাবার কাছে বড় হওয়া সন্তানের জন্য এ বিজ্ঞাপন গ্লানি ও ঘৃণার।

স্টোরি লাইনের অসঙ্গতি নিয়ে আরো হাফ ডজন কথা বলার ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু এই পর্যন্ত এসে আর রুচি হচ্ছে না। এই বিজ্ঞাপন যাদের মাথা থেকে আসে, যারা এই বিজ্ঞাপন অনুমোদন দেয় তাদের জন্য করুণা হচ্ছে। 
কী ক্ষুদ্র মনোজগত, কী স্থুল ভাবনা!


নগদের জন্য সমবেদনা
নগদ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সার্ভিস। আমরা প্রায়ই শুনি দেশের সার্ভিস ব্যবহার করুন, দেশের টাকা দেশে রাখুন। টেলিটক নাম্বার ওয়ান হতে পারেনি কেন সে নিয়ে অনেক অনেক তর্ক বিতর্ক শুনি।
বিকাশ, রকেট এবং অন্যান্য সমগোত্রীয় সার্ভিসের যে উত্থান হয়েছে, তার বিপরীতে নগদের সুযোগ আছে একেবারে তৃণমূলে সেবা বিস্তৃত করার। একেবারে কিচ্ছু মাথায় না আসলেও দেশপ্রেম ভিত্তিক একটা আবেদন বিজ্ঞাপনে থাকতে পারতো (ক্লাস নাইনের ব্যবসায় শাখার ছাত্ররাও নগদের জন্য প্যাট্রিওটিক স্টোরিলাইন লিখতে পারবে)।
কিন্তু, কিছুই হলো না।
আমরা দেখলাম – এক “অকর্মণ্য” বাবা এবং “স্বার্থপর” মেয়ে সম্পর্কের পুণঃনবায়ন হচ্ছে ৫০হাজার টাকার বিনিময়ে। আর  ঠিক ওখানেই নগদ বলছে “এভাবেই সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে দিতে এলো ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস নগদ”। 
এ কোন সম্ভাবনা?
এ কোন দুয়ার?
যারা ব্র্যান্ডটিকে দেখভাল করছেন তারা কি একবারও ভেবে দেখেছেন – এই বিজ্ঞাপনে নগদের কোন ভ্যালু  প্রপোজড  হচ্ছে? কোন পজিশনিং হচ্ছে? বিকাশ/রকেটদের আধিপত্যে নগদ কোন পয়েন্ট অব প্যারিটি বা পয়েন্ট অব ডিফারেন্স নিয়ে আসছে?

আধা সের আবেগের ভেতর দুই চামচ চোখের জল দিলেই বিজ্ঞাপন হয়ে গেল?



টাকা আর টাকা আর মন; বিজ্ঞাপন ও মন
নগদের বিজ্ঞাপন দেখে এক রকম বিবমিষা এলো মনে। মনে হলো, বিজ্ঞাপন নির্মাতারা কেবল টাকাটাই দেখেন, মন হয়তো আর দেখেন না।

এ প্রসঙ্গে বিনয় ঘোষের “মেট্রোপলিটন মন”-এর কিছু লাইন মনে পড়লো -

"মানুষের জীবনের সমস্ত উপকরণ দোষগুণ মানবিক পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক প্রেম ভক্তি স্নেহ ভালবাসা পাপপূণ্য সবই টাকার বিনিময়মূল্যে সঠিকভাবে নির্ধারণ করা যায়।
সমাজটাই একটা বড় মার্কেটের মতো এবং মার্কেটে যেমন দ্রব্যমূল্যের তালিকা থাকে, বর্তমান সমাজের মার্কেটেও বহুবিধ মনুষ্যের মূল্যতালিকা সর্বদাই তেমনি লটকানো থাকে।
জ্ঞানীগুণী মানী প্রেমিক প্রেমিকা গুরু শিষ্য স্বামী স্ত্রী পুত্রকন্যা ভাই বোন উচ্চশিক্ষিত-মধ্যশিক্ষিত-অল্পশিক্ষিত পন্ডিত মূর্খ সকলের দাম টাকার বিনিময় হিসেবে সমাজের বাজারে টাঙানো আছে।
এ টাকা একালের গতিশীল টাকা, সদাজাগ্রত সতত সঞ্চরণশীল টাকা, সেকালের মন্থরগতি জরদ্গব মোহরমুক্তা নয়।
এ টাকাই শহরের টাকা। এ টাকার ভিত্তির উপরেই আমাদের শহর প্রতিষ্ঠিত। টাকার হৃদস্পন্দন আছে, অনুভূতি আছে 'ক্যাশ ফীল্‌স' (cash feels)
এবং এই গতিশীল টাকার স্পন্দন অনুরণন অনুভূতি যতো বেড়েছে, ক্যাশের ফিলিং যত গভীর ও ব্যাপক হয়েছে, আমাদের শহরের মন তত অসাড় ও অবরুদ্ধ হয়েছে এবং শহরের ইট পাথরের নীরেট ছাঁটাকাটা স্থাপত্যে সেই মনের রূপ প্রতিবিম্বিত হয়েছে।
নাগরিক মন হয়েছে টাকার মতো ক্যালকুলেটিং, ইটপাথরের মতো কঠিন।"

*
নগদের বিজ্ঞাপন কেবল নগদটাই বুঝলো, মানুষের মন বুঝলো না।


8 comments:

  1. I personally know the team working behind Nagad. TBF they are clueless when it comes to branding or creating brand proposition. So they relied on one of the biggest name of advertising industry in Bangladesh (Yes its the first name popped up in your mind). And best director in the market (you know who). Yet they failed. Because the brand team has no clear vision for the brand itself.

    ReplyDelete
    Replies
    1. They have no idea on the brand philosophy, targeted audience, competitor analysis. A total fail led by Solaiman Shukhon.

      Delete
    2. A so called motivational speaker and a meme maker leading the brand.. What do you expect!!

      Delete
  2. Your outrage here seems a little misdirected. I've seen many families where the parents barely do enough for their children. If you feel like providing food and shelter is all there is to being a parent then that's your opinion, but there's actually more to it. When the father fails to provide the exam free, that's when you know he's not doing enough, because hard as it may be, this is the minimum a father should be able to do for his daughter in this day and age.

    What's rather off about the storyline is how the father is able to magically produce 50,000 taka at the climax. Like bro, where is this money coming from? Where was this all along? Other discrepancies include the father's wardrobe: he should be shabby, not well dressed looking like a bonedi middle class father.

    Also, please keep your ""at least he didn't get married" and so he's automatically doing enough" in your pocket. That's not the standard of fatherhood we're aiming for.

    ReplyDelete
    Replies
    1. Hey Anonymous alias dickhead SS, what the nonsensical are you talking about? you keep your fatherhood in your 6 digit salary's bullshit stories. You don't know the reality and thus you fail to understand the social mechanism.

      Delete
  3. আরও মজার পার্ট হল ডায়লগ এ বাবা টাকা পাঠানোর পর বলছে যেকোন দোকান থেকে নগদ একাউন্ট করে টাকা তুলে নিতে, প্রশ্ন হল নগদ একাউণ্ট করেনাই তো ৫০ হাজার টাকা কি বাতাসে পাঠাইছে ? ???

    ReplyDelete
  4. No life without ..............

    ReplyDelete
  5. Nice writing. Being someone from the ad industry, I know there are many stupids sitting in the chair of creative directors. This post is a nice slap on the garbage-minded-people behind this ad.

    ReplyDelete