বিবি রাসেলের বদনা বিতর্ক

ছবি: বিবি রাসেল শপ ফেসবুক পেইজ

ম্প্রতি বিবি রাসেল শপের ১৬শ-১২টাকা-৫০পয়সা দামের বদনার বিজ্ঞাপন নেটিজেনদের নজরে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপনটি বেশ আলোচনা তৈরি করেছে, যার বেশিরভাগ ঠাট্টা বিদ্রুপ এবং কৌতুহলী সারকাস্টিক জিজ্ঞাসা। দামের পাশাপাশি বদনাটির গায়ের শিল্পকর্ম এবং ২০২০ সালে এসে নাগরিক জীবনে বদনা ব্যবহারের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে ও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।

তবে যে তিনটি বিষয় বিজ্ঞাপনে ছিল, কিন্তু আলোচনায় আসেনি, সেগুলো উল্লেখ করে রাখি শুরুতেই –

১) BibiRussell – Fashion for Development

২) Locally sourced

৩) Handmade

এ তিন পয়েন্ট কেন গুরুত্বপূর্ণ সেটা পরে দেখছি।

 

প্রশ্ন হচ্ছে – এ বিজ্ঞাপন হাসি ঠাট্টা কেন?

বেশি দাম নিয়ে যুক্তি-তর্ক হতেই পারেই। আবার ঢাকা শহরেই অনেক জায়গায় এক বেলা খাবারের দাম, বহুবেলায় ব্যবহারযোগ্য এই বদনার দামের চেয়ে বেশি; এমন তর্কও আসতে পারে। হতে পারে নানানবিধ কুতর্ক।

স্মরণকালে বাংলা প্রচার মাধ্যমে বদনার বিজ্ঞাপন বোধ হয় আসেনি। আরএফএল সম্ভবতঃ প্লাস্টিক পণ্যের পোর্টফোলিও বিজ্ঞাপনে বদনা যোগ করেছিল। তবে বদনাকে অস্বাস্থ্যকর উল্লেখ করে আরএফএলই শাইন পুশ শাওয়ারের বিজ্ঞাপন করেছে। নাগরিক জীবনে বদনা যে “মানায় না… একদমই মানায় না”- সেটি বিজ্ঞাপনের বাইরে সচেতন, সচ্ছ্ল এবং সামর্থ্যবান জনগোষ্ঠীর জীবন যাপনেও দেখা গেছে।

তবে, বদনা বিলীন হয়ে যায়নি।

“লালসালু” উপন্যাসে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ লিখেছিলেন – ভাগ্যের সন্ধানে ছুটে চলা মানুষরা ট্রেনে উঠতে গিয়ে জামা ছিঁড়ে ফেলে, তাদের টুপি হারিয়ে যায়, কিংবা “আসল জিনিসটা, অর্থ্যাৎ বদনাটা – যা না হলে বিদেশে এক পা চলে না – কী করে আলগোছে হারিয়ে যায়”। ৭২ বছর পরেও দেশের গন্ডি পেরিয়ে – প্রবাসগামী বাঙালীর লাগেজের এক কোণায় “সহজ রান্না শিক্ষা” এবং অন্য পাশে "আসল জিনিস" রঙীন প্লাস্টিক বদনার দেখা মেলে প্রায়ই। শোনা যায় – প্রবাসের বাংলাদেশী দোকানগুলোতেও বদনার ব্যাপক চাহিদা।

তবুও বদনা নিয়ে আলাপ অপাংক্তেয়।

সবাই জানে, সবাই বুঝে, এরপরেও এ নিয়ে আলাপ অস্বস্তিকর। বরং আদি এবং স্থুল ভাঁড়ামির অনেকাংশে বদনার দেখা মেলে।

তাহলে কি বদনা একরকম সংবেদনশীল পণ্য?

 

আমাদের ভোক্তা জীবনে সংবেদনশীল পণ্যের অভাব নেই।

সামাজিক এবং পারিপার্শিক কাঠামোর কারণে, আন্ডারগার্মেণ্টস-কনট্রাসেপটিভ-পার্সোনাল হাইজিন প্রোডাক্ট নিয়ে প্রকাশ্যে সশব্দে আলাপ অনেক ক্ষেত্রে ট্যাবু। আবার ব্যক্তিগত রুচি-অভিরুচির ওপর ভিত্তি করে পেট নরম করার ইশুব গুলের ভূষি, চুল কালো করার কলপ, কিংবা বয়স ধরে রাখার মির‍্যাকল ক্রিম ব্যবহারও সঙ্গোপন থাকে।

ভোক্তার ব্যবহৃত পণ্যকে ব্যবহারের ভিত্তিতে মোটাদাগে দুইভাগে ভাগ করা যায় –

১) জনসম্মুখে/প্রকাশ্যে ভোগ্য পণ্য (Publicly consumed product)

২) সঙ্গোপনে/ব্যক্তিগতভাবে ভোগ্য পণ্য (Privately consumed product)

 

এই দুইয়ের মাঝে দাগ টানা হয় যার ওপর ভিত্তি করে তা হলো – ভোক্তা যখন পণ্যটি ব্যবহার করছেন তখন কি অন্য কেউ দেখতে পাচ্ছে? আমাদের অধিকাংশ ভোগ্য পণ্য প্রথম ক্যাটেগরিতে পড়ে। গায়ের জামা, হাতের ঘড়ি, ব্যাগ, পায়ের জুতো, চোখের চশমা – সবই প্রকাশ্যে ভোগ্য। অন্যদিকে গায়ে মাখার সাবান, শ্যাম্পু,পারফিউম, ডিওডরেন্ট, টুথপেস্ট, বেডরুমের বিছানার চাদর, এগুলো মূলতঃ সঙ্গোপনে/ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার্য পণ্য। এখানে বলে রাখা ভালো, প্রেক্ষাপটের ওপর ভিত্তি করে পণ্যের ব্যবহার উভয় রকম হতে পারে। আইসক্রীম কিংবা চকলেট একদিকে যেমন সবাইকে সঙ্গে নিয়ে দেখিয়ে দেখিয়ে খাওয়া যায়, আবার নিজের ঘরে খুব নিজের মতো করে লোকচক্ষুর আড়ালে ব্যক্তিগত পরিসরে আরাম করে চকলেট আইসক্রিম খাওয়া যায়। একই রকমভাবে সংক্ষিপ্ত পোশাক বেডরুমে এবং সমুদ্র সৈকতে – দুক্ষেত্রেই পরা যায়। এরকম ধূসর বিভাজন বাদ দিলে বেশিরভাগ পণ্যকে প্রকাশ্য এবং সঙ্গোপন এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

 

ই দুই প্রেক্ষিত ভোক্তার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর যথেষ্ঠ প্রভাবে ফেলে। যে পণ্য অন্যরা দেখবে, সে পণ্য কেনার আগে ভোক্তা অনেক কিছু ভাবেন। লোক দেখানোর, মানে শো-অফের ব্যাপারটি যখন আসে, তখন নিজের মুখরক্ষাও (Face saving) গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। “লোকে কী ভাববে?”, বইয়ের ভাষায় যাকে Public self-consciousness বলা হয়, এ জিজ্ঞাসা ভোক্তার মনে বারবার হানা দেয়। তাই শার্টের সাথে টাই এবং কিংবা চুড়ির সঙ্গে হাতব্যাগের কালার ম্যাচ করতে হয়। এসবই মূলতঃ নিজেকে সামাজিকভাবে প্রকাশের প্রয়াস। আর এ কারণেই, জুতোর ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা মোজা দুটো একই রঙের কিনা অথবা পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের ধাক্কায় মোজায় ফুটো হয়েছে কিনা – সেটা নিয়ে ভোক্তারা তেমন বিচলিত হন না।  

তাহলে কি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার্য পণ্য নিয়ে ভোক্তারা একেবারেই কেয়ার করে না?

না, মোটেও তা নয়।

বরং ব্যক্তিগত ব্যবহার্য পণ্যের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক বেশি জটিল হয়ে ওঠে। ভেবে দেখুন, আপনার টুথব্রাশ আপনিই দেখছেন, আপনিই ব্যবহার করছেন, কেউ দেখছে না তাই প্রেস্টিজের বা শো-অফের কিছু নেই – কিন্তু এরপরেও টুথব্রাশ কেনার আগে কতো কিছু আপনি ভাবেন! সামান্য টুথব্রাশই তো, কিন্তু এরপরেও ব্র্যান্ডের নাম আর দামের পাশাপাশি – কালার, সাইজ, হাতল কেমন, ব্রিসল কি নরম না শক্ত; সেসব কি ভাবেন না? আপনার বিছানার পাশের টেবিল ল্যাম্প, ঘুমানোর আগে বই পড়ার জন্যই ব্যবহার করছেন কেবল, সেটি কেনার আগে আপনি কতো খুঁটিনাটিই না দেখেছেন! এখানে লোক দেখানোর ব্যাপার নেই, আছে আত্মতুষ্টি এবং আত্মসন্তুষ্টির কঠিন জিজ্ঞাসা। যে বালিশে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছেন সে বালিশ যদি স্বস্তিকর না হয়, আরামের ঘুম হারাম হয়ে বিচ্ছিরিভাবে দিন শুরু হবে আপনার। এক্ষেত্রে সোশ্যাল ভিজিবিলিটি নেই, আপনি কোন বালিশ ব্যবহার করেন সেটা দেখার জন্য কেউ আপনার ঘরে এসে হানা দেবে না, কিন্তু একটি যথাযথ বালিশ আপনাকে স্বস্তি দেবে, আপনার অন্তর্গত বোধকে স্পর্শ করবে। এজন্য বলা হয়, সঙ্গোপনে ব্যবহার্য পণ্য মূলতঃ আপনার অন্তরাত্মার চাওয়াকে পূর্ণ করে। এ কারণেই, লোকচক্ষুর আড়ালে ব্যবহৃত, অদৃশ্য আন্ডারগার্মেন্টস কিংবা মোজা নিয়েও ভোক্তারা খুঁতখুঁতে।

সামাজিক প্রদর্শনী এবং অন্তরাত্মার সন্তুষ্টির মিশ্রণ ভোক্তার জীবনে খুব স্বাভাবিক ঘটনা। অফিসে স্যুট টাই কিংবা অস্বস্তিকর হাই হিল জুতোয় পরিপাটি সাজে দিন পার করা মানুষটিই সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে লুঙ্গি কিংবা আরাম জামায় সোফায় পা তুলে ব্যক্তিগত স্বস্তি খুঁজে পান।

 

প্রশ্ন ছিল – বদনা কি একরকম সংবেদনশীল পণ্য?

সংবেদনশীল না হলেও বদনা হচ্ছে সঙ্গোপনে/ব্যক্তিগতভাবে ভোগ্য পণ্য। এর ব্যবহার মানবজীবনের গোপন এবং ব্যক্তিগত জৈবিক ক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত বলেই হয়তো সংবেদনশীলতার প্রসঙ্গ চলে আসে।

 

বিবি রাসেলের বদনার প্রসঙ্গে পুরনো কথাগুলো আরেকবার স্মরণ করি – বলা হয়, বিজ্ঞাপনের বক্তব্য তৈরির আগে কিছু মৌলিক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় -

- কার জন্য বিজ্ঞাপনটি বানানো হচ্ছে?

- কী বলা হচ্ছে?

- কীভাবে বলা হচ্ছে?

প্রথম দুটি প্রশ্নের সঠিক এবং যৌক্তিক উত্তর জানা গেলে ৩য় প্রশ্ন যেটা এক্সিকিউশন অব দ্য মেসেজের সাথে জড়িত, সেটা সহজেই করা যায়।   

বিবি রাসেলের মিনিমালিস্টিক বিজ্ঞাপনটি দেখতে বেশ নান্দনিক। তবে, উপরের তিনটি প্রশ্নের প্রথমটির উত্তর সরাসরি পাওয়া যায় না।

প্রথমে মনে হতে পারে – বদনা তো গণমানুষের পণ্য। এর আবার ভোক্তা-বিভাজন আছে?

আছে।

আছে বলেই, ১৬১২টাকা ৫০পয়সার বদনার দাম অত্যাধিক বলে মনে করা হচ্ছে। অন্য অনেক পণ্যের ক্ষেত্রে যদি ইকোনমি-প্রিমিয়াম-প্রেস্টিজ-লাক্সারি ক্যাটেগরি থাকতে পারে, বদনার ক্ষেত্রে দোষ কোথায়?  দামই বলে দিচ্ছে – এ বদনা সবার জন্য নয়। আবার বিজ্ঞাপনের ভাষা দেখুন – ইংরেজী। এ হলো, সম্ভাব্য টার্গেট মার্কেটের অর্থনৈতিক এবং শিক্ষাগত মানদন্ড।

এবার আসি ২য় প্রশ্নে – বিজ্ঞাপনে কী বলা হচ্ছে?

এটা ইন্টারেস্টিং। এ বিজ্ঞাপনে পণ্যের উপকারীতা, উপযোগিতা কিংবা ব্যবহারবিধি; কিছুই বলা হয়নি। বলা হয়েছে, “বিবি’স রিকশা আর্ট বদনা”, “লোক্যালি সোর্সড” এবং “হ্যান্ডমেইড”। বদনার মধ্যে রিকশা আর্ট – এটা কি মার্কেটের কোনো চাহিদা শুন্যতা (demand gap) পূরণ করছে? কেউ কি কোনোদিন বলেছে আমার বদনায় আমি নকশা করা ফুল পাখি পাহাড় আর সমুদ্র চাই? তাহলে কেন এই আর্টিস্টিক অফার? এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে বিজ্ঞাপনের নিচে “Save the crafts people and help revive their dreams” বাক্যটির দিকে তাকালে।

স্থানীয় নকশা শিল্পীদের সমর্থন, প্রণোদনা, প্রচার এবং অনেকক্ষেত্রে রক্ষার জন্য প্রোডাক্ট ডিজাইনের সঙ্গে এই যুথবদ্ধতা নতুন কিছু নয়। বিশ্বজুড়ে আদিবাসী আর্টিস্টদের ঐতিহ্য এবং দক্ষতা রক্ষায় বড়বড় ব্র্যান্ড কোলাবরেশনে নেমেছে। বিবি রাসেলও একই পথের যাত্রী। বাংলাদেশের রিকশাচিত্র ডিজিটাল প্রিন্টের কারণে বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে – এ অনেক পুরনো খবর। বিবি রাসেল হয়তো, দেশের চারুশিল্পের এ বিশেষ শৈলী এবং দক্ষতাকে সমর্থন যোগাতে গিয়ে বদনায় রিকশা আর্ট এনেছেন। ফলে, বিজ্ঞাপনটিতে এক রকম সামাজিক দায়বদ্ধতায় মোড়কে cause-related marketing এর ছাপ দেখা গেছে। একারণেই, ৩য় প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় কাঁচামাল এবং হস্তশিল্পের প্রসঙ্গ এবং চারুশিল্পীদের জীবন ও স্বপ্ন রক্ষার আবেদন এসেছে। এটাই হয়তো বিবি রাসেলের Fashion for Development স্লোগানের প্রতিচ্ছবি।

 





একই আবেদনে বিবি রাসেল বাজারে গামছা ব্যাকপ্যাক, হারিকেন, মাস্ক, এবং কেটলি এনেছে। এ পণ্যগুলি নিয়ে সাইবারস্পেসে তেমন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

কেবল সমস্যা হয়ে গেছে বদনায় –

উচ্চ দাম এবং নান্দনিকতার এ পণ্য যাদেরকে টার্গেট করে অফার করা হচ্ছে, তারা কি বদনা ব্যবহার করে? পুশ শাওয়ারে অভ্যস্ত ভোক্তাগোষ্ঠী “এই বদনা লইয়া কী করিবে” জাতীয় বিভ্রান্তিতে ভুগতে পারে।

সংবেদনশীলতার কারণে, বদনা কখনো ড্রয়িংরুমের শো পিস হবে কিনা সেটাও বড়সড় প্রশ্ন। তবে বিবি রাসেল চাইলেই হয়তো পণ্যের ডিজাইনে নতুনত্বের পাশাপাশি ব্যবহারে নতুনত্বের দিক আনতে পারে। ফেসবুক কমেন্টেই অজু করার ক্ষেত্রে বদনা ব্যবহারের কথা বলেছে। এরকম আরও ব্যবহার ও প্রয়োগের কথা ভাবা যেতে পারে। চাইলে একই ডিজাইনে ঝাঁজরি বানাতে পারে; শহুরে ভোক্তারা লনে, বারান্দায় কিংবা ছাদ টবে রাখা গাছে পানি দিবে।

বিবি রাসেল চাইলে বিদেশী ভোক্তাদের টার্গেট করতে পারে। তাদের কাছে হয়তো শো পিস এবং স্যুভেনিয়র হিসেবে “বিবি’স রিকশা আর্ট বদনা” মন্দ হবে না।

 

খুব সম্ভাবনা আছে, এসব কিছুই করা হবে না।

আমরা যেমন দেখেছি - সিজনাল ফ্যাশন শো’তে জিন্সের লুঙ্গি পরা সুদর্শন মডেল আলো ঝলমল মঞ্চে হেঁটে যায়, কিন্তু জিন্সের লুঙ্গি কখনো গ্রহণযোগ্যতা পায় না। ফলে, পণ্যটির বাজার এবং ভোক্তা কোনোটিই তৈরি হয় না।

বিজ্ঞাপনে “বিবি’স রিকশা আর্ট বদনা” আকুল আহবান জানাচ্ছে “Save the crafts people and help revive their dreams”।

অথচ, আলোচিত বদনাটির যুগোপযোগিতা, গ্রহণযোগ্যতা, ব্যবহারবিধি, উপযোগিতা বিভ্রান্তিতে ভরপুর। এ কারণেই, একদিকে যেমন সঙ্গোপনে ব্যবহার্য এ পণ্যের ভোক্তার অন্তরাত্মার চাওয়াকে পূর্ণ করার সামর্থ্য নেই, অন্যদিকে বহুমাত্রিক বিভ্রান্তি ভোক্তার অন্তর্গত বোধকে স্পর্শ করতে ব্যর্থ  

 

শেষ পর্যন্ত, এ রিকশা আর্ট বদনার চূড়ান্ত পরিণতি হবে জিন্সের লুঙ্গির মতোই।

 

 ***

নোট: এ লেখায় “বিবি রাসেল” বলতে “বিবি রাসেল শপ” এবং “বিবি রাসেল” ব্র্যান্ডকে বোঝানো হয়েছে। ব্যক্তি বিবি রাসেলকে কোনোভাবেই উল্লেখ করা হয়নি।

 


No comments:

Post a Comment