"ব্র্যান্ড বিষয়ক" ই-বুক

 

প্রকাশিত হলো "ব্র্যান্ড বিষয়ক" ই-বুক সংস্করণ।


গুগল প্লে স্টোর থেকে বইটি সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন এখানে: ব্র্যান্ড বিষয়ক ই-বুক 


___


ছাপা সংস্করণের প্রকাশকের অপেশাদারিত্বের কারণে ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিলে তাদের সঙ্গে আমি এ বই প্রকাশ ও বিপনন সংক্রান্ত সম্পর্ক ছিন্ন করি। তাদের লিখিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ৩০-০৪-২০২৩ থেকে তারা বইটি ছাপানো ও বিপনন থেকে বিরত থাকবে। ফলে এ বইয়ের ছাপা সংস্করণ এখন বাজারে রাখা আইনগতভাবে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

___



ই-বুক সংস্করণের ভূমিকা

প্রিয় পাঠক, বইটি হাতে তুলে নেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এ বই মূলত ব্র্যান্ড সংক্রান্ত প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনার সংকলন। ব্র্যান্ডিং বিষয়ে আমার নিজস্ব পড়ালেখা এবং বোঝাপড়াকে নিজের মতো করে লিখে রাখার প্রয়াসেই এ বইয়ের অধ্যায়গুলোর সুচনা। মার্কেটিংয়ের অন্যতম শাখা হলেও, ব্র্যান্ড বিষয়ে বাংলায় প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা অপ্রতুল। বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের যারা ব্র্যান্ড বিষয়ে জানতে চান, “ব্র্যান্ড বিষয়ক” তাদের জন্যই। তবে এটি “সাতদিনে ব্র্যান্ডিং শিখুন” জাতীয় বই নয়। ব্র্যান্ডিং শিখতে হলে হাতে-কলমে মাঠে-ময়দানে থাকতে হবে, অভিজ্ঞ পেশাজীবির অধীনে প্রশিক্ষণ নিতে হবে, প্রায়োগিকভাবে ব্র্যান্ডের দেখাশোনা করতে হবে; সঙ্গে প্রয়োজন সুষ্পষ্ট তাত্ত্বিক জ্ঞান। এ তাত্ত্বিক জ্ঞানের মৌলিক কিছু জিজ্ঞাসা এবং বাস্তবতার নিরিখে তার উত্তর অনুসন্ধানের চেষ্টা করা হয়েছে এ বইতে। বলে রাখা ভালো, এ বইয়ের লেখাগুলো পুরোপুরি মৌলিক নয়। ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্টের অ্যাকাডেমিক বই, গবেষণাপত্র এবং নন-ফিকশন ঘরানার অনেকগুলো বইয়ের অধ্যায় এবং বক্তব্যকে নিজের ভাষায় এবং ভঙ্গিতে এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে। যোগ হয়েছে অসংখ্য উদাহরণ। পাঠকদের সুবিধার্থে দশটি প্রাসঙ্গিক বইয়ের তালিকা থাকছে বইয়ের শেষে। আরও বিস্তারিত তথ্যসূত্র থাকছে ওয়েব রেফারেন্সে। চাইলে এ বইয়ে প্রচুর ছবি, ডায়াগ্রাম এবং কিউআর কোড দেয়া যেতো; তবে বইয়ের কলেবর এবং দাম যেতো বেড়ে। বিকল্প হিসেবে দেয়া ওয়েব রেফারেন্সে আশা করছি পাঠকরা উপকৃত হবেন।

এ বইয়ের প্রথম তিন অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে ব্র্যান্ড কী এবং কেন। ব্র্যান্ডের নাম রাখা নিয়ে বিস্তারিত আলাপ রয়েছে পরের অধ্যায়ে। একটি ব্র্যান্ড কীভাবে ভোক্তার চোখ কান পেরিয়ে মনে মগজে জায়গা করে নেয় এবং প্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যান্ডগুলো থেকে আলাদা ও অনন্য হয়ে ওঠে; তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে ব্র্যান্ড পজিশনিং ও ব্র্যান্ড ডিফারেনসিয়েশন অধ্যায়ে। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য ব্র্যান্ডগুলো সংগ্রাম করছে প্রতিনিয়ত। ব্র্যান্ডে-ব্র্যান্ডে চলছে যুদ্ধ। সে যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি জানা যাবে যুদ্ধের ময়দানে ব্র্যান্ড অধ্যায়ে। কোমল পানীয় ব্র্যান্ডের ঘাত-প্রতিঘাত নিয়ে ইতিহাসের নিরিখে কৌশল বিশ্লেষণ জানা যাবে কোলা যুদ্ধের ঘটনা প্রবাহে। কোকা-কোলার মারাত্মক এক ভুল নিয়ে রয়েছে আলাদা অধ্যায়। এ সময়ের প্রাসঙ্গিক দুটি জিজ্ঞাসা (বাজারে শত শত অফারের চাপে ব্র্যান্ড লয়্যালটি কি মারা যাচ্ছে? সেলিব্রিটির জনপ্রিয়তা কিংবা স্ক্যান্ডাল কেমন প্রভাব ফেলে ব্র্যান্ডে?) নিয়ে বিশদ আলোচনা আছে এর পরের দুই অধ্যায়ে। শেষ অধ্যায়ে আমরা কিছু মৃত ব্র্যান্ডের সমাধিতে ঘুরে আসবো, ময়নাতদন্তে জানবো ব্যর্থতার কার্যকারণ।

পাঠক লক্ষ্য করবেন, এ বইয়ের অধ্যায়গুলো আলাদা হলেও একে অন্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ফলে কিছু কিছু উদাহরণের পুণরাবৃত্তি করা হয়েছে প্রাসঙ্গিকভাবেই। ভাষার সাবলীলতার দিকে খেয়াল রেখে অনেকক্ষেত্রে বাংলা ইংরেজীর মিশ্রণ ইচ্ছাকৃতভাবেই করা হয়েছে। আশা করছি, পাঠকরা এতে হোঁচট খাবেন না।

না বললেই নয় – ২০২১ সালে ছাপা সংস্করণ প্রকাশের পরে বেশ কিছু পাঠক বইটি পড়ে মুগ্ধতা জানিয়েছেন। বাড়তি দাম এবং অপর্যাপ্ত প্রচারণা নিয়ে অভিযোগও করেছেন কেউ কেউ। জানিয়ে রাখি, ছাপা সংস্করণের প্রকাশকের অপেশাদারিত্বের কারণে ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিলে তাদের সঙ্গে আমি এ বই প্রকাশ ও বিপনন সংক্রান্ত সম্পর্ক ছিন্ন করি। তাদের লিখিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ৩০-০৪-২০২৩ থেকে তারা বইটি ছাপানো ও বিপনন থেকে বিরত থাকবে। ফলে এ বইয়ের ছাপা সংস্করণ এখন বাজারে রাখা আইনগতভাবে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

আবারও আশা রাখছি - একবার পড়ে ফেলে দেয়ার বা ভুলে যাওয়ার বই এটি হবে না। পাঠকের ই-বুকশেলফে, মনে ও মগজে দীর্ঘদিন জায়গা পাবে “ব্র্যান্ড বিষয়ক”।

এখানে স্মরণ করছি আমার শিক্ষকদের এবং যৌথ পরিবারের সবাইকে, যাঁদের আশীর্বাদ এবং ভালোবাসা আমাকে ঋদ্ধ করেছে।

প্রিয় পাঠক, আগাম কৃতজ্ঞতা জানুন। আপনার মতামত জানান ইমেলে এবং গুডরিডসে।



আনোয়ার সাদাত শিমুল

ইমেল: shimulas@gmail.com

গুডরিডস: https://www.goodreads.com/ashimul

No comments:

Post a Comment